আন্তর্জাতিক বন্ধুুর খোঁজে বিএনপি, কূল কিনারা পাচ্ছেন না আমীর খসরু

1 min read

নিউজ ডেস্ক: প্রতিষ্ঠাকালে চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য শক্তির সঙ্গে বিশেষ মৈত্রীর সুবিধা ভোগ করেছে বিএনপি। সে পরিস্থিতি এখন আর নেই, উল্টো বন্ধুসুলভ দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই; যার এখনো উন্নতি হয়নি।এমনাবস্থায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে শক্তিধর দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে বিএনপি। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে ‘বিএনপি’ শব্দটাকেই নতুন করে চেনাতে হচ্ছে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্যদের। যা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, দল পুনর্গঠন এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ক্ষমতায় যেতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে চায়। ফলে চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- বিএনপিকে চিনতে পারছে না তারা। চেনানোর জন্য দলের পোর্টফলিও পাঠাতে হচ্ছে তাদের কাছে।

আরো জানা যায়, গত নির্বাচনের আগে বিএনপির প্রতিনিধি দল ভারত থেকে অপমানিত হয়ে ফিরে এসে নতুন করে যোগাযোগ করার সাহস পাচ্ছে না। গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যেই আলোচনা আছে, বিএনপির পক্ষ থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দিকটা এখনো স্পষ্ট নয়।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির দায়িত্বশীল একজন নেতা বাংলা নিউজ ব্যাংককে বলেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির অবস্থান ছিল অস্পষ্ট। নেতারা প্রকাশ্যেই বলেছেন- এ সফর তাদের পছন্দ হয়নি। কিন্তু দলীয়ভাবে কোনো অবস্থানও ছিল না।

এই নেতা মনে করেন, বিএনপিকে বাস্তবতা মেনে অবস্থান ঠিক করতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর জঙ্গিবাদ দমনে আন্তর্জাতিকভাবে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ হয়, বিএনপি তার সঙ্গে চলতে পারেনি। কারণ, জামায়াতকে সঙ্গে রেখে ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার চারদলীয় জোট সরকার যখন ক্ষমতায় বসে তখন জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক জোট হয়। ওই সময় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে, অনেক নৃশংস হামলা হয়। বিএনপির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ ওঠে তখন। পাশাপাশি জামায়াতকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে বিএনপির ওপর।

বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির সঙ্গে কারো কারো দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এটা ঠিক। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুতই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিএনপি আগের অবস্থানে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর মতে, জামায়াতে ইসলামীকে চারদলীয় জোট সরকারে রাখার কারণে বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা হয়েছে। জামায়াতকে সঙ্গে রেখে বিএনপি যে ভুল করেছে, সেখান থেকে বেরিয়ে না আসলে আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পরবে।

+ There are no comments

Add yours