স্বাধীনতা দিবসে কর্মসূচি দিয়ে বিপদে ফখরুল

1 min read

নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

কর্মসূচির অংশ অনুযায়ী ২৫ মার্চ ঢাকায় আলোচনা সভা করে বিএনপি। ২৬ মার্চ ভোরে বিএনপির কার্যালয়ে দলের ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নয়টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি।

যদিও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে মির্জা ফখরুলের ১০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দলের সিনিয়র অনেক নেতাই বলছেন, কেবল স্বাধীনতা দিবস পালন করা নিয়ে কর্মসূচি না দিয়ে ২৬ মার্চকে উপজীব্য করে আন্দোলনের ডাক দিলেও তা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো কাজ হতো। কিন্তু তা না করে সাদামাটা কর্মসূচি দেয়ায় তা বিতর্কিত হয়ে গেলো। এটি কেবল সরকারের মনোরঞ্জনের কৌশল বলেই রাজনৈতিক মহলের বিবেচনায় আসবে।

এ প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীনতা দিবস পালন করার বিষয়টি সত্যিই ইতিবাচক দিক। কিন্তু যেহেতু আমরা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ধরাশায়ী অবস্থায় পড়ে আছি, সুতরাং স্বাধীনতা দিবস পালনের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি ঘোষণার সময় আমাদের না। দলের মহাসচিবের উচিৎ ছিলো- স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে কর্মসূচির পরিধি আরো একটু বিস্তৃত করা। সারাদেশের নেতা-কর্মীদের এক করে এটিকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে রূপান্তর করা যেতে পারতো। যে যার মতো করে দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিষয়গুলো স্থূল হয়ে পড়ছে।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব বলেন, কর্মসূচি নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু কর্মসূচির ফলপ্রসূতা নিয়ে দ্বিমত আছে। এরকম অপোক্ত সিদ্ধান্ত নিতে নিতে দলীয় ও সাংগঠনিক মতবিরোধ ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে। আমাদের স্থায়ী কমিটি আছে, কিন্তু কার্যকারিতা নেই। যেকোনো সিদ্ধান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে নিলে তা ফলপ্রসূ হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয় উল্টোভাবে, যে যার মতো করে। এতে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি দিন দিন নাজুক হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তরণ আবশ্যক।

এমন প্রেক্ষাপটে দলের অধিকাংশ নেতারাই মনে করছেন, এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তগুলো সকলের সম্মতিক্রমেই আসা উচিৎ। নইলে দলের অবস্থা আরও নাজুক হবে। পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ না করলে দুর্দশা কিছুতেই ঘুচবে না। এদিকে স্বাধীনতা দিবস পালনে বিএনপির কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজ।

+ There are no comments

Add yours