স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে চাই : আজমত উল্লা

1 min read

গাজীপুর সিটিকে মডেল সিটিতে রূপান্তরের অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লা খান। তিনি বলেছেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে এই শহরের প্রধান সমস্যা তথা জলাবদ্ধতা, যানজট ও আবর্জনাজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তির ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি গাজীপুরকে আধুনিক, পরিকল্পিত ও স্মার্ট শিল্পবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলব।

গাজীপুর সিটির মানুষের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতা আজমত উল্লা খান বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার করব। এ বিষয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, মহানগরের বাসিন্দাদের অবশ্যই হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় আসতে হবে। ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট রুল অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর অ্যাসেসমেন্টের বিধান রয়েছে। গাজীপুর সিটিতে অ্যাসেসমেন্ট রুল ফলো না করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কর ব্যবস্থাপনায় অ্যাসেসমেন্টের পর যদি কোনো নাগরিকের আপত্তি থাকে, তবে তিনি ৩০ দিনের মধ্যে আপত্তি করবেন। একটি রিভিউ বোর্ড গঠিত হবে। ওই বোর্ড আবেদন যথাযথভাবে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবে।

আজমত উল্লা খান গত রবিবার গাজীপুর সিটিকে মডেল সিটিতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এই প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি আমার ওয়াদা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করব। সঠিক পরিকল্পনায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সেবামূলক খাতগুলো আরো শক্তিশালী করব। একই সঙ্গে নির্বাচিত হলে তার প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সিটি মাস্টারপ্ল্যান ও জনগণের অংশগ্রহণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও জানান।

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টঙ্গীর এই সাবেক মেয়র বলেন, টঙ্গীর পৌর চেয়ারম্যান বা মেয়র থাকাকালে আমার বিরুদ্ধে কিংবা আমার আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ তুলতে পারেননি। কাজেই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার ভূমিকা সব সময় একই থাকবে। এছাড়া মাদক-সন্ত্রাস নির্মূলের বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মী, সংগঠনসহ সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে সবধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে অতীতের মতো আগামীতেও আমি সোচ্চার থাকব।

শ্রমিকদের কল্যাণের বিষয়ে নৌকা মার্কার এই প্রার্থী বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে এই বিশাল শিল্প এলাকার শ্রমিকদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ তৈরি পোশাক কারখানাই এই এলাকায় বেশি এবং এখানকার শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। একটি পরিবারের নারী ও পুরুষ শ্রমিক যখন একই সঙ্গে কাজে বের হয়, তখন তার বাচ্চার পরিপূর্ণ নার্সিং পাওয়ার বিষয়টি একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। তাই জোনভিত্তিক ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।

নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে আজমত উল্লা খান বলেন, প্রতিটি সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গড়ে তোলা হবে। সামাজিক অপরাধ ঠেকাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

+ There are no comments

Add yours