নতুন ষড়যন্ত্রের কূটচালে বিএনপি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভয় দেখানোর চেষ্টা

1 min read

নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্রের কূটচালে মেতে উঠেছে বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের খুন-গুম হওয়া নেতাকর্মীদের নাম এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা ও গায়েবি মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে নেতাকর্মীরা যে সময় খুন ও গুমের শিকার হয়েছে ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে ছিলেন, তার নাম ও পরিচয়। ওই সময়কার সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপি/ এডিএসপি, মেট্রোর ক্ষেত্রে এসি-জোনের নাম পরিচয় পাঠাতে হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সারা দেশে গুম, খুন, অপহরণ ও গুরুতর জখমের শিকার নেতা-কর্মীদের তালিকা করার লক্ষে বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদককে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়।

বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে মহানগর, জেলা, উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কতজন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’, নির্যাতনে বা অন্য কোনোভাবে নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন; কতজন অপহরণ, গুম হয়েছেন; সরকারি দলের হামলায় কতজন খুন-জখম হয়েছেন- তাঁদের দলীয় পরিচয়সহ নাম-ঠিকানা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধ করা গেল।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে, এই ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই ধরনের চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ছড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্রটি বলছে, পুলিশকে ভয় দেখানোর জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্যে সংশ্লিষ্ট পুলিশের ওসি, এএসপি, এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি কিংবা মেট্রোপলিটনের ক্ষেত্রে এসি, ডিসি- এমনকি মামলার রুজুকারী কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বিএনপির একটি নতুন কৌশল। যে কৌশলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর মানসিক শক্তিকে দুর্বল করার পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র। কেননা বিএনপি যখন বাসে আগুন দেয়, জ্বালাও-পোড়াও করে, রাস্তা অবরোধ করে যানজটের সৃষ্টি করে, সাধারণ মানুষের জানমালের উপর নিরাপত্তা হুমকির আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তখন একমাত্র পুলিশ বাহিনীই তাদের এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করে থাকে। যে কারণে পুলিশ বাহিনীকে আতঙ্কগ্রস্ত করতেই বিএনপি এই নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে।

এ ধরনের কার্যক্রম বিএনপি দলীয়ভাবে অনেক আগে থেকে পরিচালনা করে থাকলেও মার্কিন নতুন ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এনেছে। এটি আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দমন করার একটি কৌশলমাত্র।

+ There are no comments

Add yours