‘খাম্বা তারেক’ সমাচার ও বিদ্যুৎ নিয়ে অপপ্রচারের ব্যবচ্ছেদ

1 min read

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হয়ে এসেছিল, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেই সেই প্রকল্পগুলো বাতিল করে। আর এর নাটের গুরু ছিল তারেক রহমান। তার নির্দেশেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কারের কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়। সেসময় লোডশেডিং এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো যে ঢাকায় মাত্র ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হতো।

বিদ্যুতের অভাবে দেশে সাধারণ জনগণ আন্দোলন শুরু করলে গা বাঁচাতে বিদ্যুতের লোভ দেখিয়ে দেশজুড়ে খাম্বা পোঁতা শুরু করে বিএনপি। আর এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ লুটপাট করে নেয় তারেক ও তার সকল অপকর্মের সঙ্গী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। সেসময় বিদ্যুৎ খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা ছিল ৭২৫ কোটি টাকা। তার পুরো টাকাই খাম্বা কেনা দেখিয়ে আত্মসাৎ করে তারেক গং।

যারা বিদ্যুতের বদলে খাম্বা দেয়া বিএনপির সেই শাসনামল ভুলে গেছেন তা মনে করিয়ে দিতে টিভিতে দেয়া তারেক রহমানের একটি সাক্ষাৎকারই যথেষ্ট। সেদিন বলেছিলেন তারেক রহমান, ‘সন্ধ্যার পরে পরে আপনি বাসায় ও কারেন্ট চাচ্ছেন at the same time আপনি চাচ্ছেন শপিং মলগুলোতে কারেন্ট। কোন গভর্নমেন্টের পক্ষেই কিন্তু সম্ভব না। খামাখা জোর করে কথা বললেতো হলো না। … আমিও ঘরেও চাবো at the same time ওখানেও চাবো।’

খাম্বা যুগের অবসানের পরের গল্পটা স্বপ্নের মতো, ব্যাপক দুর্নীতির দায়ে বিএনপি ক্ষমতা হারালে সরকারে আসে আওয়ামী লীগ। বিএনপির আমলের উৎপাদিত নামমাত্র বিদ্যুৎকে শতভাগ মানুষের আওতায় নিয়ে আসে।

এখন যখন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সঙ্কট চলমান, সরকারের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা কিছুটা বিঘ্নিত তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির গুজব সেলের কর্মীরা গুজব ছড়িছে যে, বাংলাদেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে। অন্ধকারে ডুবে যাবে দেশ, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট।

সত্য এই যে, স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে প্রচণ্ড গরমের কারণে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু সেটাও সাময়িক। কয়লার মজুদ শেষ হওয়ার কারণে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হলেও বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছে সরকার।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তার পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে চালু থাকবে। ভারতের আদানী থেকেও এসময় পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ আসবে। এর পাশাপাশি বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের সরকারী ও বেসরকারী মিলে মোট ১০টা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তাদের পূর্ণ সক্ষমতায় চালু থাকবে। তাই পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ বিপর্যের যে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে তা ঠিক নয়

+ There are no comments

Add yours