যে কারণে তারেক রহমানের ভিসা বাতিল করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র

1 min read

নিউজ ডেস্ক: ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই ঘোষণার পর কিছু মহল মনে করছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বেড়েছে।

২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন ভিসা নীতি এবারই প্রথম নয়। এর আগে বিএনপির দুর্নীতিগ্রস্থ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের জন্য এমন ভিসা নীতি হাতে নিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তারেক রহমানের বাড়াবাড়ি, দুর্নীতি, কমিশন বাণিজ্য, জঙ্গিবাদে মদদদানে চরম বিরক্ত ছিলো বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলো। তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিল বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। পরবর্তীতে বিশ্বে সাড়া-জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস তারবার্তাটি প্রকাশ করে। রাজনৈতিকভাবে দুর্নীতি করায় তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দিতে ওয়াশিংটনকে সুপারিশ করা হয়েছিল ওই তারবার্তায়।

উইকিলিকসের ফাঁস করা নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই এর অন্যতম সহযোগী মাহতাব খামারুকে তারেকের টেলিফোনে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় র‌্যাব। ঢাকাস্থ মার্কিন কূটনীতিকরা বিএনপির পারিবারিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ উত্তরসূরিকে ‘জঙ্গি মদদদাতা’ সহ নানা বিপজ্জনক অভিধায় চিহ্নিত করেন।

তারেকের ব্যাপারে ঢাকায় কাজ করা মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি তার দেশকে লিখেছিলেন, ‌‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কুখ্যাত জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে এবং মায়ের উত্তরসূরি, ‘ভয়ঙ্কর রাজনীতিবিদ এবং দুর্নীতি ও চুরির মানসিকতা-সম্পন্ন সরকারের প্রতীক’। ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনে পাঠানো রিপোর্টে রাষ্ট্রদূত তারেক রহমানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুষ্টু এবং ভয়ঙ্কর পুত্র হিসেবে অভিহিত করেন।

মারিয়ার্টির রিপোর্টে তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিনিময়ে দেশের মন্ত্রিত্ব বিক্রির অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠন ও নির্বাচনে জয়লাভে কৌশলগত বুদ্ধি প্রয়োগের কৃতিত্ব তার। ৬০ জনের মন্ত্রীপরিষদের এক-তৃতীয়াংশই তিনি পূরণ করেছেন ও বিক্রি করেছেন।

+ There are no comments

Add yours