‘বিএনপির সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয়েছে সেন্টমার্টিন দিয়ে দেব’

1 min read

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে সরিয়ে নিজেদের পোষা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতায় বসাতে চায় আমেরিকা।’

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য আমেরিকা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘাঁটি করতে চায় আমেরিকা। কেন ঘাঁটি করতে চায়? এই ঘাঁটি করে তারা এখান থেকে চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবে। শেখ হাসিনাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, কিন্তু নেত্রী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। নেত্রী বলেছিলেন, “শির যাবে, তারপরও সীমানা দেবো না।” তাই আজ শেখ হাসিনাকে সরাতে চায় আমেরিকা।’

সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।

এর আগে বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরমান আল ইসলাম তন্ময়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

ড. ইউনূস সম্পর্কে দেশের মানুষ সব জানে উল্লেখ করে সমাবেশে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের নামে গ্রাম পর্যায়ের নিরীহ গরিব মানুষের শেষ সম্বলটুকু শেষ করে দিয়েছেন ড. ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের সুদ ছিল ৪০ শতাংশ। অথচ তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আসলে তাকে সুদের ওপর নোবেল দেওয়া হয়েছিল। এখন দেশে তার বিচার শুরু হয়েছে। এতদিন কোথায় ছিলেন, হঠাৎ কোথা থেকে আবির্ভাব হলেন তিনি।’

বিএনপির সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয়েছে, তারা সেন্টমার্টিন দিয়ে দেবে আর বিনিময়ে ক্ষমতায় এনে দেবে উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা আজকে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, আমেরিকায় যাদের বাড়ি-গাড়ি আছে, তাদের কাপড়চোপড় ঠিক নেই, সব নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা যারা দেশে আছি, তাদের কোনও আকাঙ্ক্ষা নেই। আমাদের আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই। এর আগে নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডাকেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আমেরিকা।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, ‘বিএনপি হারিকেন নিয়ে মিছিল করেছে। এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, ১৫ দিন পর আপনাদের হারিকেন আপনাদের গলায় লাগাবো। কী যেন ঘেরাও করবেন, করেন না ঘেরাও। ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। জনগণ আপনাদের তখন ঘেরাও করবে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর।

এতে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি সামছুউদ্দিন নোমান, সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ হামিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল মানিক ও সাধারণ সম্পাদক খান শিহাবুর রহমান শিহাব প্রমুখ।

 

+ There are no comments

Add yours