বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না : হানিফ

1 min read

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি-জামায়াতের জয় পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কারণ তারা জানে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হলে তাদের জয়লাভের কোনো সুযোগ নেই। তাই যেকোনো মূল্যে, যেকোনো কায়দায় দেশকে অস্থিতিশীল করাই তাদের মূল লক্ষ্য।’

এ অবস্থায় বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‌‌‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে; এজন্য আপনারা (বিএনপি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে খুশি হয়ে স্বাগত জানালেন। আগামী সংসদ নির্বাচনের যখন পরিবেশ হয়েছে, তখন রাজপথে আপনাদের আন্দোলন করার যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে এই বাংলাদেশকে নরক বানিয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন করেছিল। হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছিল। লাখ লাখ নেতাকর্মী কারাবরণ করেছিল। অথচ আজ এরাই নাকি সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দল!’

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার চক্রান্তের নেপথ্যে নেতৃত্বে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ক্যান্টনমেন্টে বসে বিএনপি দল গঠন করেছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে হাজারো নেতাকর্মী হত্যা করেছে। অথচ তিনিই নাকি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন সরকার নাকি সাড়ে ১৩শ’ মামলা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এতদিন তিনি লাখ লাখ মামলার কথা বললেন। এখন এসে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩শ’ মামলা। এসব মামলার বেশিরভাগ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পরিবারের দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের কারণে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায় সরকার করেছিল। আমাদের সরকার মামলা করেনি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা আগুন দিয়ে, জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, সন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে-কুপিয়ে নারকীয়ভাবে হত্যা করেছিল; সেই সময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। সেগুলোর কি বিচার হবে না? তারা যে অপরাধ করেছিল, এ মামলাগুলো সেই সময়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছিল।

জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মন্নাফী, জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. ওয়াজেদ ইসলাম খান প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

+ There are no comments

Add yours