জাহাঙ্গীর আলম: জনপ্রতিনিধি নাকি ভাঁওতাবাজ?

1 min read

নিউজ ডেস্ক: জনপ্রতিনিধি নাকি দখলদার এক ভাঁওতাবাজ? মেয়র হয়েই দিনের পর দিন চালিয়েছেন অত্যাচার; এমনকি সড়ক প্রশস্তকরণের নামে জোরপূর্বক করেছেন জমি দখল। তবে দেয়া হয়নি কোন ক্ষতিপূরণ। এমনকি উপেক্ষা করা হয়েছে আদালতের নির্দেশনাও। গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের এমন অভিযোগ বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। অথচ আইনি বাধা থাকলে কিংবা জোর করে জমি দখল হলে বিধি অনুযায়ী তা অবৈধ।

জানা যায়, জমি অধিগ্রহণ না করেই টঙ্গী-বনমালা সংযোগ সড়কের ১২ ফুট রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে ৬০ ফুট বানিয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর। দেননি কোনো ক্ষতিপূরণ। এছাড়া কোনাপাড়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া এনটিকেসি গার্মেন্টসের (যা দখল করে নিয়েছিলেন মেয়র জাহাঙ্গীর) প্রায় শতাধিক শ্রমিক সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎও করেন।

একইসঙ্গে টেন্ডার বাণিজ্যে জাহাঙ্গীরের অনুসারী না হলে ঠিকাদারি লাইসেন্স নবায়ন করা হতো না। নতুন লাইসেন্স দেওয়া হতো শুধুমাত্র মেয়র অনুসারীদের। এ সুযোগ পেয়েছে ছাত্রদল ও বিএনপির রুহুল আমিনও। তিনিও আজ শত কোটি টাকার মালিক। জাহাঙ্গীরের সবচেয়ে কাছের লোক হিসেবে পরিচিত রুহুল আমিন।

প্রশ্ন আসতে পারে জাহাঙ্গীর তো সড়কের উন্নয়ন করেছিলেন, তবে তিনি নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও জনগণের পালস বুঝতেন! কিন্তু তা কোনোভাবেই নয়। মেয়র জাহাঙ্গীর সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ কাজ বাদ দিয়ে রাস্তার দিকেই বেশি নজর দিতেন। কারণ, জাহাঙ্গীর ও অনুসারীদের টাকা কামানোর সবচেয়ে বড় উৎসই ছিল রাস্তা। নতুন রাস্তা বানিয়ে সাধারণ মানুষকে আইওয়াশ করতেন তিনি। আর রাস্তার কাজে ভূমি অধিগ্রহণ করার নামে মোটা অংকের টাকা আয় করার সুযোগ নেন জাহাঙ্গীর ও তার অনুসারীরা।

অধিগ্রহণের নামে জমি নিয়ে কোনো ভূমির মালিককেই ন্যায্য মূল্য দেননি জাহাঙ্গীর। কিছুসংখ্যক লোক আংশিক ক্ষতিপূরণ পেলেও অধিকাংশ মালিক কোনো দামই পাননি। উল্টো রাস্তার কাজ দেখিয়ে মেয়র নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চেয়েছিলেন। যার পুরোটাই ছিলো ভাঁওতাবাজি।

+ There are no comments

Add yours