যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি: কঠিন বিপদে বিএনপি

0 min read

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে চরম বিপাকে বিএনপি। ২৪ মে রাতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দেয়া এমন ঘোষণায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিতে আমি আজকে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এমন ঘোষণার পর থেকে বিএনপি খানিকটা নড়ে চড়ে বসেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের শুরুতেই দ্বাদশ নির্বাচনকে নস্যাৎ করতে কঠিন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো বিএনপি। বছরের শুরুতে সমাবেশ মহাসমাবেশ করে, বছরের শেষে নির্বাচনে আগে কঠিন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা ছিলো তাদের। ইতিমধ্যে তার রেশ ধরে, বছরের শুরুতে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেখা যায়। ফলে নির্বাচনের আগে, তারা যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো, এটি স্পষ্ট। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এমন নীতিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে বিএনপি। ফলে নির্বাচনের আগে তারা চাইলেও কঠিন কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান করেন। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া, এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

মজার বিষয় হচ্ছে, এসকল কাজ মূলত বিএনপি বিগত ৩০ বছর থেকে করে আসছে। নির্বাচনে তারা জনগণের আস্থার চেয়ে বেশি সন্ত্রাসের ওপর আস্থা রাখতে বেশি আগ্রহী। ফলে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে দ্বিধায় আছে বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। এর আগে কানাডার আদালত আমাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলো। নির্বাচনের মাঠ, আমাদের অনুকূলে না গেলে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নীতির দিকে তাকানোর সময় আমাদের থাকবে না। যা করা দরকার তাই করবো। ক্ষমতার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

+ There are no comments

Add yours